ডিভোর্সী উগ্র নারীবাদী বিয়ে বয়কট করুন
ডিভোর্সী ও বিধবা এক নয়
সারাংশঃ
আধুনিক উগ্র নারীবাদ, ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে করতে নিরীহ পুরুষদের অনৈতিক টোপ দেয়। তারা ফ্যাশনের নাম করে যৌনতাকে উসকে দেয় এমন কাপড় পরিধান করে আর বলে নারীর স্বাধীনতা, মুক্তি চাই। এছাড়াও বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর অপ-যুক্তি দেখায়, ধর্মীয় ও সামাজিক বিধানের অপব্যাখা করে এবং কোন প্রকার সামাজিক শৃঙ্খল মানে না।
[ পুনশ্চঃ আমরা নারীদের সম্মান করি, উগ্র-নারীবাদীদের না। আমরা এখানে ঢালাওভাবে সব নারীদের নিয়ে কথা বলিনি। আমরা এখানে মূলত ডিভোর্সী উগ্র-নারীবাদী নারীদের নিয়ে আলোচনা করেছি ]
মূল বক্তব্যঃ
ইত্যাদি কর্মকান্ডের মাধ্যমে কর্মজীবী নিরীহ পুরুষদের বেছে বেছে প্রলুব্ধ করে এবং নানা রকমভাবে টাকা-পয়সা অর্থকড়ি-সম্পদ হাতিয়ে নেয়।
রাষ্ট্রকে এ কাজে চরম অন্যায়ভাবে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে উগ্র নারীবাদীরা। মূলত, উগ্র নারীবাদীরা সুন্দর সুখী পরিবারগুলোতে ডিভোর্স করিয়ে লেজকাটা শেয়ালের মতো নিজেদের সংসার ভেঙেছে বলে অন্য সুখী নারীদেরও সংসার ভাঙতে উন্মুখ থাকে।
আজ উগ্র নারীবাদীরা সম অধিকারের নাম করে সমাজে পুরুষ বিদ্বেষমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন করে নারী সুরক্ষার কালো আইনের মূলা দেখিয়ে নিরীহ পুরুষের জীবন তছনছ করছে।
তো, উন্নত বিশ্বের এই সম-অধিকারের ধ্যান-ধারণার কারণেই তো আজ তাদের পরিবার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বাচ্চারা বড় হচ্ছে ফস্টার হোমে, জারজ বাচ্চাদের সংখ্যা বাড়তেসে, কেউ বিয়েই করতে চাচ্ছে না। কারণ ডিভোর্স দিলেই নারী অনেক টাকা পায়।
আবার, সেইসব উন্নত দেশের সরকার ঘোষণা দিচ্ছে বাচ্চা নিলেই সরকার থেকে পুরস্কার, বিয়ে করলেই পুরস্কার। তাহলে মিথ্যে বস্তাপঁচা উগ্র নারীবাদী আদর্শ এই দেশে বাস্তবায়ন করার মূল উদ্দেশ্য কি ? আমাদের মা - বোনদেরকে নারী স্বাধীনতার নাম করে ঘর থেকে বের করে উলঙ্গ করতে উগ্র নারীবাদীরা এতো আগ্রহী কেন ?
ফলশ্রুতিতে, সমাজে বেড়ে যায় পরকিয়া। তৈরি হয় বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ যৌন সঙ্গমের ব্যাপক সম্ভাবনা। এবং অসংখ্য পিতৃ-মাতৃহীন অবৈধ জারজ সন্তান জন্মদানের সংখ্যা।
কেননা যে বাঘিনী একবার রক্তের স্বাদ পায়, সে বাঘিনী বারবার রক্ত চায় যেভাবেই হোক না কেনো। তেমনি যে বিবাহিত নারী পৌরুষের সঙ্গতে দারুণ মজা পায় এবং সংসার ভাঙতেও দ্বীধা করেনা। সে নারী ডিভোর্সের পরে পৌরুষের সঙ্গ পেতে মরিয়া হয়ে হঠে, মেতে ওঠে বিবিধ পাপাচারে।
ডিভোর্সী উগ্র নারীবাদী নারী মূলত পঁচে যাওয়া ফল, যা ফেলে দিতে হয় ডাষ্টবিনে। নতুবা ভালোদেরও নষ্টাতে পরিণত করে।
ভিন্ন দৃষ্টিতে,
খেয়াল করলে দেখবেন, ফলবতী গাছ ও পশুর যত্ন আত্তি যেমন হয়ে থাকে তেমনই যত্ন আত্তি কিন্তু ফলহীন কোনও গাছ বা পশু পায়না। ডিভোর্সী নারী হলো ফলহীন গাছ। বাগানের ফলবতী গাছের যত্ন আর আগাছার যত্ন সমান হয় না।
ডিভোর্সী নারীরা সেই আগাছার মতো, যে নিজে তো অন্যের প্রাণরস শুষে নেয়। আবার, নিজের স্বার্থে হিতকারী অন্যকেও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পাঠায়।
বস্তুত, ডিভোর্সী উগ্র নারীবাদী নারী সমাজের জন্য কোনও মঙ্গল বয়ে আনেনা। তারা কেবল সমাজে নষ্টাদের সংখ্যা বাড়িতে তোলে। ক্যান্সার হলে যেমন সে অঙ্গ কেটে বাদ দিতে হয়। ডিভোর্সী উগ্র নারীবাদী নারীও তেমনি সমাজ থেকে ছেঁটে ফেলে দিতে হয়।
কিন্তু, বিধবা নারীর হিসেবটা ভিন্ন। বিধবাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো উচিত। কারণ সেটা মৃত্যু, সেটা প্রকৃতি দ্বারা ঘটিত।
ডিভোর্সি উগ্র নারীবাদীদের কেনো বয়কট করা উচিতঃ
তো চলুন দেখে নেয়া যাক, কেনো ডিভোর্সিদের কেনো বয়কট করা উচিত
কারণ #১
সঙ্গত কারণে বোঝা যায়, যে নারী একবার স্বামীর অবাধ্য হয়ে ডিভোর্স দিয়েছে তার পক্ষে দ্বিতীয়বার স্বামীর অবাধ্য হওয়া অনেক সহজ। যেমনঃ অভিনেত্রী মিথিলা, শ্রাবন্তী, পরীমণি, ৭১ টিভির সাংবাদিক ফারজানা রুপা ও মুন্নি সাহার কাহিনী ইত্যাদি
কারণ #২
বর্তমান যুগে কাবিন ব্যবসা একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে উগ্র নারীবাদীদের জন্যে। সমাজ ও রাষ্ট্র অন্ধভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে নারীদের।
উগ্র নারীবাদী নারীরা বিয়ের আগে ভালো সেজে পুরুষের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি কাবিন ধার্য করে। তারপর কয়েকমাস যেতে না যেতেই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সরকারি নারী সুরক্ষা আইনের আওতায় নারী নির্যাতন, বৈবাহিক ধর্ষণ, মানসিক অত্যাচার, মিথ্যে যৌতুকের মামলা ইত্যাদির ভয় দেখিয়ে ডিভোর্স দেয়। কারণ, ডিভোর্স দিলেই তো কাবিনের কাড়ি কাড়ি টাকা পেয়ে যায়।
তো এভাবে যদি ১ বছরে অন্তত দুইটি বিয়ে করা যায়, তাহলে তো বিয়েপ্রতি কাবিন ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হলে মিনিমাম ১০ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ইনকাম।
অথচ ভাবুন, ১০ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে একটা পুরুষকে কি পরিমাণ কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তার উপরে আবার চাকরির বাজারে নারী কোটা, শিক্ষা ক্ষেত্রে নারী কোটা, নাগরিক সম-অধিকারে নারী কোটার মাধ্যমে পুরুষকে দমিয়ে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে
উগ্র নারীবাদীরা এই উপায়েই ডিভোর্স দিয়ে কাবিন ব্যবসা করতেছে। সুতরাং, উগ্র নারীবাদী ডিভোর্সিদের বয়কট করা উচিত
কারণ #৩
মানসিকভাবে অতীতে বসবাস
একজন পুরুষের জীবনের সবচেয়ে দুঃখ-কষ্টের মুহূর্ত হলো, যখন পুরুষ নিজের জীবন-যৌবন বিসর্জন দিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোজগার করে। কেবলমাত্র স্ত্রীকে পরিবারকে একটু বেশি সুখে রাখবে বলে, কিন্তু সেই স্ত্রী যদি তার অতীত ভুলতে না পারে তাহলে এটা রীতিমতো ব্যথাদায়ক। গবেষণা বলছে নারীরা অতীত সহজে ভুলতে পারেনা
মনে রাখবেন, কাঁঠাল গাছে যেমন কখনও করলা ধরেনা তেমনি যে নারী ডিভোর্স দিয়ে সংসার ভেঙেছে সে আর কখনও প্রথমবারের মতো আবেগ নিয়ে সংসার করবে না। রতিবারই সে একই রকমের ঘটনাগুলোকে পুরোনো সংসারের সাথে তুলনা করবে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে নারীরা অতীত মনে রাখতে বেশি দক্ষ। যদিও এটা নারীরা মুখে স্বীকার করে না কিন্তু ঠিকই নারীদের কার্যক্রমে প্রকাশ হয়। যেমনঃ মনোমালিন্য হলে নারীরা দশ বিশ বছর আগের ঘটনাকেও টেনে এনে তুলনা দিতে দ্বিধা করেনা।
কারণ #৪
একাধিক যৌন সঙ্গী
চোরকে কেউ বিশ্বাস করে, কিংবা ডাকাতকে?
পতিতাকে কেউ বিশ্বাস করে , কিংবা চরিত্রহীনকে?
মানুষের স্বভাবও তাই,
উপরন্তু, বিয়ের জন্যে কুমারী মেয়ের অভাব পড়েছে এমন তো নয়। সুতরাং, কুমারী বিয়ে করুন এবং উগ্র নারীবাদী ডিভোর্সিদের বয়কট করুন।
কারণ #৫
ডিভোর্সি নারীর এক পুরুষের সন্তান ওপর পুরুষের কাছে পালনের ব্যাপারটাও একই রকম। যে নারী নিজেই দয়া-মায়াহীন হয়ে মাসুম বাচ্চার কথা না ভেবে পাষাণের মতো একটা সংসারকে পায়ে ঠেলে দিলো।
সেই ডিভোর্সি নারীকে অবলা ভেবে তার সন্তান পালন করতে গিয়ে দুধভাত দিয়ে সাপ পুষছেন না তো ?
কারণ #৬
অনেক ডিভোর্সি আছেন অতীত থেকে বের হতে পারেন না। ডিভোর্স হওয়ার পরেও যদি ২য় বিয়ে করে তো সেই সংসারের সবকিছু আগের সংসারে সাথে মিলাতে চায়। সে মনে মনে হয়তো কামনা করবে আগের সংসারের মতো ঘর সাজাবে, রান্নাঘর গুছাবে ইত্যাদি।
কিন্তু সমস্যা হলো, একজন পুরুষ হয়ে আপনি কি এটা মানতে পারবেন যে আপনার স্ত্রী আপনার বুকে মাথা রেখে অতীতের স্বামীকে নিয়ে মনের গোপনে স্মৃতিচারণ করবে। নিশ্চয় না।
যেহেতু, এগুলো মানসিক বেপার তাই সে না পারবে স্বামীর সাথে শেয়ার করতে না পারবে কাউকে বলতে। মাঝে থেকে সংসারও মন দিয়ে করতে পারবে না বা করার ভান করবে। সেজন্যে বিপদ ডেকে না এনে ডিভোর্সি বাদ দিয়ে কুমারী বিয়ে করুন, সুখী হবেন
কারণ #৭
দ্বিমত পোষণ কিংবা গোপন বিরুদ্ধাচারণএটা প্রমাণিত সত্য যে, জীবনের প্রথম যে চাকরিটা করবেন তাতে স্বাভাবিক ভাবেই অনেক কিছুই শিখে যাবেন কষ্ট হলেও। এরপরে চাকরি বা অফিস বদল হলেও পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেকে সেয়ানা প্রমাণ করে টিকে থাকতে পারবেন অনায়াসেই।
বিয়েও তাই, প্রথমবার বিয়ে হলে একটা নারীকে নতুন করে সবকিছু শিখতে হয়। শেখার এই সময়ের টানাপোড়েন টাই জীবনকে স্মৃতিমধুর করে তোলে। কিন্তু একজন ডিভোর্সির ক্ষেত্রে আপনি নতুনত্ব পাবেন না।
ডিভোর্সির ক্ষেত্রে, সে জানে পুরুষকে কিভাবে সামলাতে হয়। সে আগের সংসার সামলিয়ে ঝামেলা করেই ডিভোর্স নিয়ে এসেছে। তার এই অভিজ্ঞতায় আপনি স্বামী হিসেবে পিছিয়ে থাকবেন। ফলে স্বামী হিসেবে আপনার স্ত্রী হবে আপনার সিনিয়র বসের মতো।
ফলশ্রুতিতে, ডিভোর্সি নারী সব ক্ষেত্রেই আপনার চেয়ে নিজের মতামতকে খাটাতে দ্বিমত পোষণ করতে পারে কিংবা গোপন বিরুদ্ধাচারণ বা নিজ পরিবারের সাথে শলাপরামর্শ করে আপনার নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাতে পারে। তাই সাধু সাবধান, বিয়ের বাজারে কুমারী মেয়ের অভাব পড়েনি যে বেছে বেছে পঁচা শামুকে পা কাটবেন
কারণ #৮
ডিভোর্সী উগ্র নারীবাদী নারীরা বেশিরভাগ সময় ডিভোর্সের পরে পরিচয় সংকট (Identity crisis) ও হীনমন্যতায় (Inferiority complex) ভোগে। যেহেতু ঝামেলা করেই এক সংসার থেকে তালাক পেয়েছে সেজন্যে ডিভোর্সী উগ্র নারীবাদীরা পুরো দুনিয়াটাকে নিজের মতো ভাবে। নিজের হাতের মুঠোয় রাখতে চায়।
ডিভোর্স পরবর্তী সংসারে ডিভোর্সী উগ্র নারীবাদী নারীরা স্বামীর বাড়ির প্রতিটা কথাকেই তিরস্কার রূপে দেখে। সেই দেখায় না থাকে সাংসারিক দায়বদ্ধতা, না থাকে স্বামীর পরিবারের মুরুব্বিদের সাথে মানিয়ে নেয়া, না থাকে স্বপ্রতিভ প্রাঞ্জলতা।
এজন্যে যদি ডিভোর্সীকে বিয়ে করতেই হয় তবে তার আগের বিয়ের তালাকনামায় তালাকের কারণ দেখবেন। এছাড়া ডিভোর্সীকে বিয়ে করলে ২য় বা ততোধিক হিসেবে বিয়ে করবেন। এমনিতেও দেশে-বিদেশে পুরুষের তুলনায় নারীর আনুপাতিক হার বেশি। অর্থাৎ সব পুরুষ ১টি করে বিয়ে করলেও অসংখ্য নারী অবিবাহিত রয়ে যাবে।
কারণ #৯
অনেক পুরুষ আগ বাড়িয়ে ডিভোর্সি উগ্র নারীবাদী নারীর দায়িত্ব নিতে চায় বিয়ের মাধ্যমে। কিন্তু তারা ভবিষ্যৎটা দেখতে পায় না। একবার সংসার করে আসা নারী জানে পুরুষের নাকে দড়ি দিয়ে কিভাবে ঘোরাতে হয়।
পুরুষের এই আবেগকেই পুঁজি করে ডিভোর্সি উগ্র নারীবাদী নারীরা। নেকু নেকু ঢং করে অযৌক্তিক উচ্চভিলাষী ইচ্ছা আকাঙ্খা চাপিয়ে দেয় বেচারা স্বামীর কাঁধে। সেই অযৌক্তিক উচ্চভিলাষী ইচ্ছা আকাঙ্খা পূরণ করতে না পারলেই খোঁটা দেয় ডিভোর্সি উগ্র নারীবাদী নারী তার স্বামীকে।
বলে, ভরণপোষণ করতে না পারলে বিয়ে করেছিলে কেনো। তারপর থেকে একদম মাথায় ছোড়ে বসে স্বামীর, তখন স্বামীকে জীবনের বহুকিছু বিসর্জন দিতে হয়। নিজের সুখ আহ্লাদ ভুলে কেবল স্ত্রীর প্রয়োপযোন মেটাতে হয় বেচারা স্বামীকে।
এজন্যেই ডিভোর্সি বিয়ে করা হতে বিরত থাকা উচিত সচেতন পুরুষদের। এমন তো নয় বিয়ের জন্যে কুমারী মেয়ে দেশে আর নেই। তাহলে সারা জীবনের জন্যে কেন সেকেন্ডহ্যান্ড ডিভোর্সি উগ্র নারীবাদী নারীকে বয়ে বেড়াবেন? যদি করতেই চান তবে ২য় বা ততোধিক স্ত্রী হিসেবে ডিভোর্সি উগ্র নারীবাদী নারীকে সুযোগ দিন।
কারণ #১০
মানুষ তার সহজাত প্রবৃত্তি কখনো ভুলে নাঅধিক কাবিন ধার্য করে ভালো পরিবারে বিয়ে করার লোভে অল্প সময়ের জন্যে বহু ডিভোর্সি ভালো সাজলে ধরার উপায় নেই। যদি ডিভোর্সি বিয়ে করতেই হয় তবে মনে রাখবেন, সাপ যতবারই তার চামড়া ছাড়ুক না কেন, সে সবসময় সাপই থাকবে।
যদি ডিভোর্সি বিয়ে করতেই হয় তবে অবশ্যই ডিভোর্সি নারীর আগের বিয়ের তালাকনামা দেখবেন। অনেক সময় পূর্বের স্বামীকে অধিক কাবিনের লোভে কিংবা পরকীয়া বা অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে ধরা পড়ার পরে হয়তো পুরুষটি ডিভোর্স দিয়েছে নারীটিকে। সেক্ষেত্রে দেখবেন তালাকনামায় ডিভোর্সি নারীর আগের স্বামী ডিভোর্সের কি কি কারণ উল্লেখ করেছেন।
এক পুরুষের সংসার পায়ে ঠেলা নারী দশ পুরুষের সংসারকেও পায়ে ঠেলতেও দ্বিধা করবে না।
যেমনঃ অভিনেত্রী মিথিলা, শ্রাবন্তী, পরীমণি, অপু বিশ্বাস, ডাক্তার আকাশের মৃত্যু, ক্রিকেটার আলামিনের কাহিনী, বগুড়ার মিন্নি কর্তৃক স্বামী রিফাত শরীফ হত্যা, ৭১ টিভির সাংবাদিক ফারজানা রুপা ও মুন্নি সাহা, ক্রিকেটার রুবেলের কাহিনী ইত্যাদি
কারণ #১১
বেশিরভাগ ডিভোর্সি নারী সংসার করতে গিয়ে দায়িত্বের পাশাপাশি নিজের অযৌক্তিক উচ্চবিলাসী ইচ্ছা-আকাঙ্খা স্বামীর ওপর চাপিয়ে দেয়। আর আশা করে স্বামী নিজের জীবন তুচ্ছ করে স্ত্রীর সেইসব অযৌক্তিক উচ্চবিলাসী ইচ্ছা-আকাঙ্খা পূরণ করবে।
নারীবাদীরা বলে, স্ত্রী নাকি সংসারের কাজ করতে বাধ্য নয়। অথচ সেইসব নারীবাদীরাই আবার স্বামীর সম্পদে ভোগদখল করতে চায় বিনা দায়িত্ব পালন করে। এর ফলে বেশিরভাগ পুরুষ সইতে না পেরে ডিভোর্স দেয়।
সেজন্যে বলছিলাম, ডিভোর্সি নারীবাদীরা তাদের অযৌক্তিক উচ্চবিলাসী ইচ্ছা-আকাঙ্খা ত্যাগ তো করেই না বরং স্বামীকেই সমঝোতা করতে প্ররোচিত করে। তাই পুরুষদের উচিত উগ্র নারীবাদী ডিভোর্সিদের বয়কট করা।
কারণ #১২
কৌশলে আবেগ দেখিয়ে স্বার্থ হাসিলযারা মানুষ চরায় খায় তাদের কথা খুব মিষ্টি শোনায়, যেমনঃ মার্কেটিং সেলসম্যান, হকার । ঠিক তেমনিভাবে নারীবাদী ডিভোর্সিরা জানে কোন কৌশল করলে সহজে পুরুষ থেকে স্বার্থ হাসিল করতে পারবে সহজেই। কারণ নারীবাদী ডিভোর্সিরা ডিভোর্স দেয়ার ফলে ইতোমধ্যেই এক বা একের অধিক পুরুষ চরিয়ে এসেছেন।
নারীবাদী ডিভোর্সিদের কিছু কৌশল যেমনঃ স্বামীকে হাতের মুঠোয় রাখার চেষ্টা, স্বামীর পরিবারের থেকে নিজের পরিবারকে বেশি গুরুত্ব দেয়া, স্বামীকে স্ত্রী তার নিজের বাপ-মায়ের কুবুদ্ধি দ্বারা চলতে কৌশল করা, স্বামীর পরিবারকে স্বামীর চোখে খারাপ বানিয়ে তোলা ইত্যাদি
কর্মজীবী পুরুষের জন্য এতো কূটকৌশল মোকাবিলা খুব জটিল ও সময়সাধ্য। তাই বিয়ে যখন করবেন তখন ডিভোর্সি কেন ? কুমারী বিয়ে করবেন
পর্যালোচনাঃ
ধরুন, একটি গাছ রোপণ করেছেন। সময় এলে গাছটি আমের ফলন দিলো। আপনি কি চাইলে সেই গাছে কখনও কাঁঠাল ফলাতে পারবেন ? তেমনি, যে নারী একবার সংসার ভাঙে সে নারীর আরও সহস্রবার বিবাহ হলেও সুখী হতে পারেনা।
ডিভোর্সি নারীর ব্যাপারে পুরুষের সাবধানতাঃ
নিরুপায় হয়ে কোনো ডিভোর্সি নারীবাদীকে বিয়ে যদি করতেই হয় তবে প্রথমে অবশ্যই কুমারী বিয়ে করুন। এরপর ২য় বা তার অধিক স্ত্রী হিসেবে ডিভোর্সি নারীবাদী গ্রহণ করুন ইচ্ছেমতো।সামান্য ৫ টাকার সবজি কিনতে গেলে কেউ বাসি পুরোনো সবজি কেনে না। যেখানে বিয়েটা পুরো জীবনের ব্যাপার, সেখানে কেনো কয়েক ঘাটের পানি খাওয়া ডিভোর্সি নারীবাদীকে বিয়ে করে খাল কেটে কুমির আনবেন ? করতে হলে ২য় বা তার অধিক স্ত্রী হিসেবে ডিভোর্সি নারীবাদীকে বিয়ে করবেন।
অনেকে চালাকি করে একের অধিক বিয়ের ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করার শর্ত দেন। এটা খুব সহজ। যদি স্ত্রী আপনার বাধ্যগত থাকে তাহলে তাকে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা সামর্থ্য অনুযায়ী দিতে পারেন। অন্যথায়, কেবলমাত্র খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে যতটুকু যা লাগে এর বাইরে আইনগতভাবে আপনি স্বামী হিসেবে একটা কানাকড়িও দিতে বাধ্য নন।
মূলত, স্ত্রীর ভরণপোষণ বলতে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে নূন্যতম যতটুকু লাগে সেটুকু খরচ করা। কিন্তু স্বামীরা ভালোবেসে তারও অধিক খরচ করলে স্ত্রী সেটাকে অধিকার বলে মনে করেন এবং অন্যায় অযৌক্তিক বিলাসী আবদার করে বসেন। যা আসলে অনধিকার চর্চা।
অর্থাৎ, বাধ্যগত স্ত্রীর জন্যে ভালোবাসবেন উজাড় করে কিন্তু স্ত্রী অবাধ্য হলে উপরোক্ত নিয়মে তার রাশ টেনে ধরবেন।
ডিভোর্সি নারী নিয়ে আলোচনা, ডিভোর্সি পুরুষ নয় কেনোঃ
নারী হলো বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত্রের মতো। কারণ নারীর ঔরস হতে সন্তান জন্ম নিয়ে তবেই সমাজ সমৃদ্ধ হয়ে এগিয়ে চলে। নারী শস্যক্ষেত্র কারণ নারীর জন্মদানের ক্ষমতা আছে, পুরুষের নেই। পুরুষের ক্ষমতা আছে, নারীর জন্মদানের ক্ষমতাকে আগলিয়ে রাখার, যত্ন নেয়ার, প্রয়োজনীয় রসদ যোগান দেবার এবং শস্যের নিরাপত্তার যাবতীয় কলাকৌশল।শস্যক্ষেত্রে যে ফসল ফলবে তার গুণগত মান যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা যতখানি, শস্যক্ষেত্রের মালিকের ক্ষেত্রে সেই প্রয়োজনীয়তা ততখানি নয়।
ধরুন, শস্যক্ষেত্রের মালিক যদি ল্যাংড়া-খোঁড়া হয় তাহলে কি শস্যক্ষেত্রে ভালো জাতের শস্য ফলাতে কোনো বাধা আছে ?
কিংবা ধরুন, শস্যক্ষেত্রের মালিক যদি দেখতে অসুন্দর কিংবা বোবা-কালা হয় তাহলে কি শস্যক্ষেত্রে উন্নত জাতের শস্য ফলাতে কোনো বাধা আছে ? উত্তর হলো না।
শস্যক্ষেত্রের মালিক যেমনই হোক না কেন, উন্নত ও ভালো জাতের শস্য ফলাতে শস্যক্ষেত্রের মালিকের তেমন কোনো বাধা নেই।
আবার ধরুন, নারী হলো তালার মতো এবং পুরুষ হলো চাবির মতো। কারণ নারীর মাঝে সহস্র রহস্য লুক্কায়িত থাকে এবং পুরুষ তালার ভেতর চাবি ঢুকিয়ে রহস্য আস্বাদন করে। এখন একটা তালা যদি দশটা চাবি দিয়ে খোলা যায় তাহলে সেটা নষ্টা তালা। আবার একটা চাবি দিয়ে দশটা তালা খোলা গেলে তাকে Master Key বলা হয়।
ঠিক এই সকল কারণেই নারীর পরিশুদ্ধতা পুরুষের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাই আলোচনাটাও ডিভোর্সি নারী নিয়ে বেশি কিন্তু ডিভোর্সি পুরুষ নিয়ে কম।
বিধবা বিবাহ নিয়ে কিছু কথাঃ
পরিশিষ্টঃ
https://gendermed.org/why-men-never-remember-and-women-never-forget/