বিবাহ বহির্ভূত বিকৃত অনৈতিক ও অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বিশেষ একটি পর্যায়ে; এক যুগল জিনিসপত্র বাঁধার দড়ি অজানা কারণে ব্যবহার করেছিলো বলে জানা যায়। সেই অবস্থায় ওই দড়িতেই ঘটনাক্রমে গলায় ফাঁস লেগে গিয়ে প্রাণ চলে যায় এক নিরীহ যুবকের। উক্ত দূর্ঘটনাটি ভারতে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের খাপড়খেড়া এলাকায় গত শুক্রবার (জানুয়ারি/৮/২০২১) সকালের দিকে ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে আনন্দবাজার পত্রিকায় সবিস্তারে প্রকাশিত হয়।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিকৃত উপায়ে বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক ও অবৈধ যৌন তৃপ্তির পূর্ণ আনন্দ পেতে ঘাতক চরিত্রহীন নারী তার পুরুষ সঙ্গীটির হাত ও পা একত্রে চেয়ারের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিয়েছিলেন। এছাড়াও গলাতে আরও একটি দড়ি বেঁধেছিলেন উক্ত চরিত্রহীনা নারীটি।
জানা যায় সেই দড়িতেই ঘটনাক্রমে পাকেচক্রে ফাঁস লেগে মৃত্যু ঘটে উক্ত নিরীহ যুবকের।
ভারতীয় গণমাধ্যমে ভারতীয় পুলিশ জানায়, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিবাহবহির্ভুত অনৈতিক ও অবৈধ যৌনতার সম্পর্ক ছিলো। সেই অবৈধ সম্পর্কের সূত্র ধরেই দুজনে মিলে একটি হোটেলে উঠেছিলেন একসঙ্গে একান্তে ব্যক্তিগত সময় কাটাবে বলে।
কিন্তু অবৈধ যৌনতার অনৈতিক নির্মল যৌন আনন্দ পেতে উক্ত ঘাতক নারী তার পুরুষ সঙ্গীর হাত ও পা চেয়ারের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। তারপর অন্য একটি দড়ি গলাতেও বেঁধে রাখেন।
ওই ঘাতক নারীর দাবি, গলাতে দড়িটি হালকা করে বেঁধে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে গিয়েছিলেন তিনি। এর পরে, কোনোভাবে ঘটনার পাকেচক্রে চেয়ারে বাধা যুবক সহ চেয়ারটি পিছলে পড়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ঠিক তখনই গলায় ফাঁস লেগে যায় উক্ত যুবকের।
কিছু সময় বাদে উক্ত নারী বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখেন, মাটিতে নিথর নিশ্চুপ পড়ে আছে সঙ্গী যুবকের দেহ। তৎক্ষণাৎ তিনি ফোন দেন অবস্থানরত উক্ত হোটেলের রুম সার্ভিসে। হোটেল সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুততম সময়ে এসে যুবকের গলার ফাঁস তাড়াতাড়ি খুলতে উদ্যত হন।
এরপর পুরো দূর্ঘটনার বিষয়টি পুলিশকে সবিস্তারে জানালে পুলিশ তৎক্ষণাৎ এসে উদ্ধার করে মৃতদেহটি। পুলিশ জানিয়েছে, উক্ত ঘাতক নারী বিবাহ বহির্ভুত অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের ব্যাপারে সবকিছুই নিজ মুখে স্বীকার করেছেন। এরপর প্রটোকল অনুযায়ী পুলিশ উক্ত ঘাতক নারীর জবানবন্দি এবং উক্ত হোটেল কর্মীদের থেকে জবানবন্দি রেকর্ড করেছে।
(সূত্রমতে: আনন্দবাজার পত্রিকা)